">
ডেস্ক রিপোর্ট:: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়।
সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কে কোন পদে আসছেন তা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। ইতোমধ্যে কমিটিতে ঠাই করার জন্য সম্ভাব্য অনেকেই জুড় লবিং করে যাচ্ছেন কেন্দ্রে। অবশেষ দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিতে হবে সবাইকে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে স্থান পেতেও আলোচনায় সবকিছু ছাড়িয়ে এবারও আলোচনায় দুই চৌধুরী।
সূত্র জানায়, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে চোখ সবার। গুরুত্বপূর্ণ এ পদে কে আসছেন, এই প্রশ্নের উত্তর কেউই জানে না তার পরও সবার মধ্যে কৌতুহল শেষ নেই। কেননা বর্তমান সভাপতি সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তাই সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ পদে আলোচনায় রয়েছেন দুই চৌধুরী। সিলেটে আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও আলোচনায় ছিলেন তারা। তারা হলেন— সদ্য সাবেক জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য বিদায়ী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। অবশ্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কে আসছেন, তা দলের সভানেত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
এদিকে, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় থাকা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী গত কয়েকদিন পূর্বে দেশে ফিরেন। জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা হবার পর থেকে তাকে আর মাঠে দেখা যায়নি। অপরদিকে, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীও বসে নেই। তিনি কেন্দ্রে সময় দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাস সময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা সহ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গেছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের হাতে জমা পড়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। এ নিয়ে সিলেটে চলছে তুমুল আলোচনা। যদিও সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রের হাতে, নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের চোখে জেলা কমিটিতে।
প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাবেক কমিটির নেতাদের পাশাপাশি সম্পাদকীয় পদে নতুনরাও সুযোগ পাচ্ছেন। কমিটিতে জায়গা করে নেওয়া নেতাদের মধ্যে সম্পাদকীয় পদে রদবদল হতে যাচ্ছে। কিছু নতুন মুখ আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর নগরীর আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মহানগরে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন ১২ জন এবং জেলার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পরে সমঝোতার মাধ্যমে সম্মেলনে ঘোষিত কমিটিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হন মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে সদ্য সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খাঁনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।