bangla http://n11.demo121.com Top news Sat, 03 Oct 2020 11:51:42 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.5.14 অল্প পুজিতে ১০ টি ছোট ব্যবসা করতে পারেন http://n11.demo121.com/archives/657 Sat, 03 Oct 2020 11:51:42 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=657 ছোট ব্যবসার আইডিয়া – আপনিও কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? যদি হে, তাহলে এইটা মনে রাখুন যে কম টাকায় ব্যবসা করার অনেক উপায় বা আইডিয়া আমাদের কাছে রয়েছে। আজ অনেকেই এই ক্ষুদ্র ব্যবসার ধারণা নিয়ে বা করে নিজের জীবন চলাচ্ছেন। ছোট ব্যবসা বা ক্ষুদ্র বিজনেস আমরা ওগুলিকে বলি যেগুলি ব্যবসাতে অনেক কম টাকা […]

The post অল্প পুজিতে ১০ টি ছোট ব্যবসা করতে পারেন first appeared on bangla.

]]>
ছোট ব্যবসার আইডিয়া – আপনিও কি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন? যদি হে, তাহলে এইটা মনে রাখুন যে কম টাকায় ব্যবসা করার অনেক উপায় বা আইডিয়া আমাদের কাছে রয়েছে। আজ অনেকেই এই ক্ষুদ্র ব্যবসার ধারণা নিয়ে বা করে নিজের জীবন চলাচ্ছেন।

ছোট ব্যবসা বা ক্ষুদ্র বিজনেস আমরা ওগুলিকে বলি যেগুলি ব্যবসাতে অনেক কম টাকা বা পুঁজির প্রয়োজন হয়।কিন্তু, এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, কম টাকায় আরম্ভ করা ছোট ব্যবসা সবসমই ছোট বা ক্ষুদ্র নাও থাকতে পারে। আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন বরো ব্যবসা হয়ে উঠতেই পারে।কিন্তু তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর মন, কাজ করার ইচ্চা এবং ধর্য্য শক্তির প্রয়োজন হবে। তাহলেই, আপনি নিজের ক্ষুদ্র বিজনেস কে বরো করেনিতে পারবেন।

নিজের একটি ব্যবসা আরম্ভ করাটা সবাইর একটা স্বপ্ন বা ইচ্ছা। কিন্তু, বেশিরভাগ লোকেরা ব্যবসার স্বপ্নটি পুরো করতে পারেনা কম টাকার সমস্যার জন্য। আর তাই, আমি আপনাদের ১০ টি এমন ক্ষুদ্র ব্যবসার বিষয়ে বলবো যেগুলি আপনি অনেক কম পুঁজিতে আরম্ভ করতে পারবেন।আপনার নিজের একটি business এর স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবেনা। আপনার হাথে যতটাই টাকা আছে তা দিয়েই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কারণ, কম টাকায় কি ব্যবসা করা যায়, কি বেশি লাভের ব্যবসা বা কোনটা ভালো ব্যবসা তার ১০ টি ধারণা বা আইডিয়া আমি নিচে বলবো।
যদি আপনি ৯ থেকে ৬ office job করছেন তাহলে নিচে দেয়া business idea গুলি দ্বারা আপনি part-time business বা আয় করতে পারবেন। এবং, যদি আপনি একটি student বা job করছেন এবং এখন নিজের একটি ব্যবসা কম পুঁজিতে start করতে চাচ্ছেন তাহলে নিচে দেওয়া বিজনেস গুলি থেকে যেকোনো একটি করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় কিভাবে করা যায় : কম টাকায় ব্যবসা করার কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া বা ক্ষুদ্র ব্যবসার উপায় জেনেনেই। আর, যা আমি আগেই বলেছি এই business গুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে স্টার্ট করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিজের business বড় করার জন্য বা success হওয়ার জন্য আপনার আগ্রহ থাকতে হবে।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া (small business) নিচে আমি ১০ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার ব্যাপারে বলছি যেগুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে যেকোনো সময় আরম্ভ করতে পারবেন।

১. মোবাইল রিপেয়ারিং (mobile repairaing) এর ব্যবসা: আজ মানুষের হাতে হাতে এবং ঘরে ঘরে smatphone আছে। আর, এই স্মার্টফোন ফোন গুলি খারাপ নিশ্চই হয়। তাই, আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই কামিয়ে নিতে পারবেন। কারণ, মানুষ মোবাইল কিনবের আর মোবাইল যিহেতু একটা electronic তাই ও খারাপ হবেই এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই।

মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করতে আপনার বেশি পুঁজির প্রয়োজন হবেনা। আপনার প্রথোম একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর course করতে হবে যেটা ৩ থেকে ৪ মাসেই হয়ে যাবে। এবং, এই কাজ বা কোর্স করতে আপনার বেশি পয়সার প্রয়োজন নেই। কেবল ৩ থেকে ৫ হাজারে এই course করা যায়।
আপনি যদি চান তাহলে youtube এ ভিডিও দেখে ফ্রি তে mobile repairing এর কাজ শিখতে পারবেন। এখন রইলো দোকান। নিজের রিপেয়ারিং ব্যাবসা জন্য আপনার একটি দোকানের প্রয়োজন হবে। মনে রাখবেন, মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন হবেনা। কেবল নিজের কাজ টুকু করার মতো একটি ছোট্ট দোকান নিলেই হবে। তাই, এখানেও আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন নেই।

এখন, course করার পর নিজের দোকান নেয়ার পর আপনার টাকার প্রয়োজন হবে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। Mobile repairing এর কাজ করার জন্য আপনার কিছু যন্ত্র পাটির প্রয়োজন যেগুলি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার ভেতরে হয়ে যাবে। তাই, এই মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যাবসা আপনি ১০ হাজার টাকার ভেতরে আরম্ভ করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
২. ফুলের দোকানের business (flower shop): আজকাল সেই business তাড়াতাড়ি চোখে পড়ে বা তাড়াতাড়ি success হয় যেগুলি অনন্য (unique) এবং মার্কেটে খুব কম পরিমানে রয়েছে এবং যেগুলির চাহিদা (demand) অনেক বেশি। সেরকমই, ফুলের দোকানের ব্যবসা খুব কম লোকেরা করছেন এবং এই ব্যবসার চাহিদাও অনেক রয়েছে।
তাই, আপনি অনেক রকমের ফুল গাছ এবং ফুল নিজের দোকানে রেখে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। মানুষে বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোনো উপলক্ষতে ফুল বা ফুল দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া দিয়ে অনেক ভালো বসেন। আর তাই, এই রকমের উপহার আজকাল অনেক জনপ্রিয়।

আপনি, অনেক কম টাকা লাগিয়ে একটি flower shop খুলে তাতে অনেক রকমের ফুলের তোড়া বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসাটা অনেক কম লোকেরা করে আর তাই এর চাহিদা বেশি এবং এতে আপনি কম সময়ে success হতে পারবেন। ফুলের দোকান এর business করতে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন হবেনা।আপনার, কেবল একটি ছোট্ট দোকান নিতে হবে এবং অনেক রকমের ফুল কিনতে হবে। বাকিটা আপনার হাতের কাজ এবং বুদ্ধির ওপরে নির্ভর করবে। এক একটি ফুলের তোড়া আপনি বানিয়ে নিজের মন মতো দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এই ফুলের দোকানের ব্যবসা কম টাকাতে অনেক লাভের ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে।

৩. অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা: আপনি এইটা তো জানেন যে আজকাল বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কেনা কাটা করতে ভালো বাসে। কারণ, online shopping ওয়েবসাইটে কম খরচে ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং জিনিস লোকেরা করে বসেই পেয়ে যায়। এই ব্যবসা যদি আপনি ভালোকরে ধারেনিতে পারেন তাহলে আপনি খুব কম সময়ে অনেক ইনকাম করতে পারবেন।

তাই, আপি যদি কম খরচে লাভের ব্যবসা করতে চান, তাহলে অনলাইন shopping store বা shopping website বানাতে পারেন।শপিং ওয়েবসাইট বানাতে আপনার বেশি খরচ হবেনা। আপনি কোনো website developer কে দিয়ে ১০ হাজারে একটি শপিং স্টোর বানিয়ে নিতে পারবেন।

তা ছাড়া, আপনি নিজেই WordPress এর মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন। WordPress এর দ্বারা একটি ফ্রি online shopping website কিভাবে বানাবেন তা জানার জন্য আপনি YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন। নিজের অনলাইন shopping ওয়েবসাইট বানানোর আগে আপনার product এর বেপারে ভাবতে হবে। মানে, আপনি অনলাইনে কি বিক্রি করতে চান, তা আগেই ভেবে নিতে হবে।

আপনি একটি বা অনেক সামগ্রী (product) নিজের স্টোরে বিক্রি করতে পারবেন। খালি এতটুকু মনে রাখবেন, আপনি যা সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করবেন তার চাহিদা থাকতে হবে এবং সেই সামগ্রীতে লাভ থাকতে হবে। এর বাইরে, অল্প marketing এবং বুদ্ধি লাগিয়ে আপনি নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে প্রচার করতে হবে।

এরকম অনলাইনে সামগ্রী বিক্রি করে আজ, flipkart, amazon এবং snapdeal এদের মতো shopping ওয়েবসাইট গুলি আজ কোটি কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছে। তাই, আপনিও যদি কিছু লাভের এবং নতুন রকমের business আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের দ্বারা জিনিস বিক্রি করার ব্যবসা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে। আপনি, YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে এই business এর ব্যাপারে সবটাই জেনে নিতে পারবেন।

Blogging দ্বারা অনলাইন ব্যবসা: আপনি যদি ঘরে বোসে অনলাইন business করতে চান তাহলে blogging বিজনেস আপনার জন্য অনেক ভালো একটি বিজনেস প্রমাণিত হবে। আজ, লক্ষ লক্ষ লোকেরা কেবল একটি ব্লগ বানিয়ে নিজের ঘরে বোসে কাজ কোরে টাকা আয় করছেন।
কেবল টাকা আয় করাটাই বোরো কথা না, কিন্তু আপনি blogging এর মাধ্যমে ঘরে বোসে অনলাইন আয় করতে পারবেন। আর, যদি আপনার ব্লগ লোকেদের ভালো লাগে এবং ব্লগ টি যদি success হয়ে যায়, তাহলে আপনি ভাবতেও পারবেননা যে কতটা ইনকাম আপনার হবে।আসলে, ব্লগ থেকে আয় করাটা অনেক সোজা যদি আপনি তাকে ভালোকোরে করতে পারেন।

আপনার একটি ব্লগ বানাতে হয় যেটা আপনি blogger ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি তে বানিয়ে নিতে পারবেন। তারপর আপনার নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি যেকোনো জিনিসের বিষয়ে লিখতে পারবেন আপনার যা ভালো লাগে এবং লোকেদের যা ভালো লাগে। যখন আপনি ভালো ভালো আর্টিকেল নিজের ব্লগে লিখবেন তখন google এবং yahoo র মতো সার্চ engine থেকে আপনার ব্লগে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসবে।

আর, যখন একটু ভালো সংখ্যাতে আপনার ব্লগে traffic বা visitors আসবে তখন আপনি Google adsense এর দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি বিশ্বাস করেন, আজ দুনিয়াভরে হাজার হাজার লোকেরা ব্লগ এবং Google adsense এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছে।

Blogging business জেকেও করতে পারে। আপনি যদি student, housewife, retired বা part-time টাকা আয় করতে চান আপনি ব্লগ বানিয়ে তাকে business হিসেবে part-time বা full-time করতে পারবেন। এতে আপনার বেশি টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি এই অনলাইন ব্যবসাটি এক টাকা খরচ না করেই আরম্ভ করতে পারবেন। Blogging এর বেপারে অধিক জন্য আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন – ব্লগ মানে কি ? ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন

৫. YouTube চ্যানেল দ্বারা অনলাইন business: যদি আপনি অনলাইন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাহলে YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাকে একটি ভালো business হিসেবে চলতে পারবেন।ব্লগের মতোই ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপনি ঘরে বোসে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই business এ আপনি কোনো পুঁজি না লাগিয়েই নামতে পারবেন। বাস, আপনার নিজের ট্যালেন্ট এবং ভালো ভালো ভিডিও বানানোর যোগ্যতা থাকতে হবে। YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। কিন্তু, মনে রাখবেন এই ব্যবসা থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার কিছু সময় দিতে লাগবে।

আপনি যদি অল্প সময় দিতে পারেন, ভালো ভালো ভিডিও বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম করার chance হয়ে উঠবে। আর, তার পর থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কিভাবে ইউটিউবে থেকে টাকা আয় করা যায় ? জানুন এখানে।

৬. মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকান: আপনি যদি অনেক কম টাকায় ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তাহলে একটি ছোট্ট মোবাইল রিচার্জ দোকান শুরু করতে পারেন। আজকাল, মানুষের হাথে হাথে মোবাইল আছে এবং তারা দোকানে গিয়ে রিচার্জ অবশই করবে। তাই, আপনি এই business টি অনেক কম পুঁজিতে এবং অনেক ছোট দোকান নিয়ে আরম্ভ করতে পারবেন। আপনার মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে কেবল ১০ থেকে ১৫ হাজার খরচ হতে পারে।

আপনি সব network কোম্পানির রিচার্জ কার্ড রাখার সাথে সাথে prepaid এবং postpaid sim বের কোরানুর কাজ করতে পারেন। এতে আপনার extra ইনকাম হবে। তা ছাড়া, postpaid বিল জমা কোরানু, মোবাইলের cover, head phone এবং মোবাইলের কিছু মাল পত্র (accessories) নিজের দোকানে রাখতে পারেন। যখন আপনার দোকান থেকে ইনকাম হওয়া শুরু হবে তখন ছোট খাটো মোবাইল এবং আরো অন্য মাল পত্র দোকানে রাখা শুরু করেদিবেন।

৭. Ice-cream parlor এর দোকান: আজকাল অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া ভোরে রয়েছে। সেরকম একটা ছোট ব্যবসা হলো ice-cream parlor এর দোকান দেওয়া। হে আপনি ঠিক শুনেছেন। আজকাল মানুষ নিজের কাজ কর্ম এবং পড়া-শোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে। তাই, লোকেরা ice-cream parlor এর মতো খোলা মেলা জায়গা ভালো বাসেন যেখানে অল্প সময় বসে তারা নিজের মাথা এবং মন তাজা (fresh) করতে পারে।

আপনি এমন একটা জায়গা খুঁজতে হবে যেখানে লোকের আশা যাওয়া বেশি। বিশেষ করে, কোনো স্কুল-কলেজ, মার্কেট এরকম জায়গায় একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে তাতে ice-cream parlor খুলতে হবে। মনে রাখবেন তাতে এতটুকু জায়গা হতে হবে যে কয়েকজন লোক এসে বসতে পারেন কোনো restaurant এর মতো।

ব্যাস, তারপর নিজের দোকানে ভালো ভালো ice-cream এনে রাখুন এবং নিজের গ্রাহকদের খাওয়ান। যখন লোকেদের আপনার parlor এ এসে বোসে এবং ice-cream খেয়ে ভালো লাগবে তখন তারা বার বার আপনার দোকানে আসবে।

Ice-cream parlor business করতে আপনা কেবল একটি ভালো জায়গায় একটি দোকান নিতে হবে এবং ice-cream রাখার জন্য একটি fridge নিতে হবে। এর বাইরে লোকেদের বসার জন্য table এবং chair ও রাখতে হবে। এগুলো কিনতে আপনার বেশি টাকা খরচে হবেনা এবং কম টাকা দিয়ে আপনি এই বিজনেসটি start করতে পারবেন।

৮. Fast food truck / stall: আজকাল লোকেরা বাইরে tasty বা স্বাদের খাবার (fast food) খেয়ে অনেক ভালো বাসে। তাই, এই fast food এর ব্যবসা আজকাল অনেকটাই লাভজনক এবং কম টাকা দিয়ে আপনি আরম্ভ করতে পারবেন। নিজের stall বা দোকানে আপনি অনেক রকমের মোমো, চাওমিনে, চপ, পাও ভাজি, ধোসা, ঘুগনি, কফি আদি খাবার লোকেদের খায়িয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই ব্যবসা আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে start করতে পারবেন। আপনার খাবার বানানোর কিছু জিনিস লাগবে এবং একটি কারিগর যে খাবার বানাবে। তারপর একটি দোকান বা truck (খাবারের গাড়ি) যেটা দিয়ে আপনি জাগায় জাগায় গিয়ে লোকেদের খাবার খাওয়াতে পারবেন।

মনে রাখবেন, আপনি যদি এই fast food খাবার ব্যবসা একটি দোকান নিয়ে করেন তাহলে কেবল একটি জাগার থেকে লোকেরা (customer) আসবেন। এবং, যদি আপনি এই ব্যবসা একটি ছোট্ট ট্রাক (truck) এ শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক জায়গায় গিয়ে গিয়ে নিজের খাবার বিক্রি করতে পারবেন। এতে লোকেরা আপনাকে চিনবে জানবে এবং আপনার বেশি বিক্রি হবে।

৯. Xerox এবং printing store: আপনি যদি ভাবছেন যে অনেক কম পুঁজিতে কি ব্যবসা করা যেতে পারে, তাহলে xerox এবং printing এর দোকান দেয়ার কথা আপনি ভাবতে পারেন। আজকাল লোকেরা ছোট খাটো থেকে বড়ো বড়ো কাজে xerox এবং প্রিন্টিং এর দোকান খোঁজে। স্কুলের বাচ্চাদের এবং অফিসে কাজ করা লোকেদের অনেক রকমের project থাকে এবং তারা দোকানে গিয়ে নিজেদের বানানো project print করেন।

তাই, এই ছোট ব্যবসার আইডিয়া দিয়ে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এর বাইরেও, আপনি নিজের দোকানে লোকেদের জন্য bio-data (resume) বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। এই business এ আপনার অল্প টাকার প্রয়োজন হবে। আপনার একটি ছোট্ট দোকান, একটি computer, printer এবং xerox মেশিনের প্রয়োজন হবে। তারপর আপনার দোকানে customer আসতে থাকবে আর আপনি নিজের হাতের কাজ দিয়ে টাকা আয় করতে থাকতে পারবেন। তারপর আপনার আর কোনো বিশেষ খরচ থাকবেনা।

১০. Tuition class এবং centre : আপনি যদি tuition করিয়ে ভালো পান তাহলে এটাকে আপনি নিজের একটি professional career বানিয়ে নিতে পারবেন। Tuition বলতে খালি পড়াশোনা নয়, আপনি যদি গান শিখাতে চান, drawing শিখাতে চান, guitar শিখাতে চান বা যেকোনো বাজনা (instrument) শিখাতে, চান আপনি তা tuition এর মাধ্যমে শিখাতে পারবেন।

এই tution profession টি আপনি তখন একটি career হিসাবে নিতে পারবেন যখন এইটা বড়োভাবে করা যাবে। মানে, একটি বোরো ঘর (room) নিয়ে তাকে tuition centre বানিয়ে তাতে class করানো। এইভাবে tuition টাকে আপনি একটি career বানিয়ে তাকে ভালো ইনকামের মাধ্যম আপনি বানিয়ে নিতে পারবেন। এখানে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন ও নেই। আপনি খালি একটি ঘর (room) নিবেন বাকিটাতো আপনি যা নিজে জানেন তা students দের শিখবেন।

আমাদের শেষ কথা: তো, আপ্নেও যদি কম টাকায় ব্যবসা করতে চান এবং অল্প পুঁজিতে লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে ওপরে দেয়া business idea গুলি থেকে যেকোনো একটি করতে পারেন। আপনি business যাই করেন এইটা অবশই মনে রাখবেন যে, ব্যবসা করলে তাকে অল্প সময় দিতে হবে।

মানে, যেকোনো business একদিনেই সফল হয়না। আপনার খাটতে হবে, সময় দিতে হবে এবং নতুন নতুন idea নিয়ে আগে বাড়তে হবে। ব্যবসা ছোট হোক বা বোরো কেবল আপনি success হতে পারবেন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

The post অল্প পুজিতে ১০ টি ছোট ব্যবসা করতে পারেন first appeared on bangla.

]]>
যেকোন ব্যবসায়ে সফল হতে হলে হাল না ছেড়ে লেগে থাকুন ‍ http://n11.demo121.com/archives/650 Sat, 03 Oct 2020 06:23:03 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=650 আপনার বন্ধু যে কিনা পড়াশুনায় খুব বাজে রকমের ছিল। যাকে নিয়ে আপনি আপনার অন্য বন্ধুদের বলতেন এই ছেলে কি করবে। ও তো ক্লাশে কিছুই পারে না। পড়াশুনায় ভীষন রকমের খারাপ করা সেই ছাত্রটি স্কুল কিংবা কলেজ জীবনেই ঝড়ে পড়েছিল। কিন্ত আপনি এখন তার আয়ের স্তর দেখে নিজেই চমকে যান। কিভাবে সম্ভব ভাবতে থাকেন। যাকে দিয়ে […]

The post যেকোন ব্যবসায়ে সফল হতে হলে হাল না ছেড়ে লেগে থাকুন ‍ first appeared on bangla.

]]>
আপনার বন্ধু যে কিনা পড়াশুনায় খুব বাজে রকমের ছিল। যাকে নিয়ে আপনি আপনার অন্য বন্ধুদের বলতেন এই ছেলে কি করবে। ও তো ক্লাশে কিছুই পারে না। পড়াশুনায় ভীষন রকমের খারাপ করা সেই ছাত্রটি স্কুল কিংবা কলেজ জীবনেই ঝড়ে পড়েছিল। কিন্ত আপনি এখন তার আয়ের স্তর দেখে নিজেই চমকে যান। কিভাবে সম্ভব ভাবতে থাকেন। যাকে দিয়ে চিন্তা করেননি কোন কিছু, সেই কিনা বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স করে বসে আছে। আর আপনি চাকুরীর বাজারে পায়ের জুতা ক্ষয় করে চলেছেন। আর আফসোস করছেন লেখাপড়া শিখে কি করলাম।

আপনার আফসোসের কিছুই নেই। শুধুমাত্র তার এই সফলতার পেছনের সুত্রটি যদি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন। অধিকাংশ সাধারন মানুষেরা এই সফলতার সুত্রটি খুঁজে পায়না। কারন তারা এই সুত্রটি কখনোই খোঁজার চেষ্টা করে না।

চুলন এবার একটু পেছনে ফেরা যাক…..

আপনি যখন পড়াশুনা পুর্ণউদ্যোমে চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখন স্কুল কিংবা কলেজ থেকে ঝড়ে পড়া আপনার সেই বন্ধুটি কোন না কোন একটি কাজে ঢুকে পড়ে। নানা ঘাত প্রতিঘাতে সেই কাজটিতে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা চালাতে থাকে। দীর্ঘ সময় লেগে থাকার কারনে একই সেক্টরের লোকেদের সাথেও যোগাযোগ বাড়তে থাকে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আপনার এই বন্ধুটি লেগে থাকার মত কঠিন কাজটি সহজে করতে থাকে।

কারন পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে তাকে কোন না কোন একটি কাজ করে বাকীটা জীবন পার করতে হবে সেটা সে খুব ভাল ভাবেই উপলব্ধি করতে পারে।লেগে থাকার একযুগের বেশী সময়ে তার কাছে দক্ষতার সাথে ধরা দেয় উত্তম যোগাযোগ। বার বার ঝুঁকি নেওয়ার মধ্য দিয়ে তার কাছে ধরা দেয় অর্থ। সাথে বাড়তে থাকে লেখাপড়া না জানার জন্য নীরব আফসোস। ঠিক ততটা সময়ে আপনার অর্জন বেশকিছু সার্টিফিকেট। যেগুলো ধুয়ে রোজ পানি খাওয়ার চিন্তা করছেন আপনি। কিন্তু আপনি একবারও ভেবেছেন আপনার কাছে কি আছে?

আপনার কাছে যে শিক্ষা, যে জ্ঞান আছে তা যদি লেগে থেকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেন তা কি বয়ে আনতে পারে ভেবেছেন কখনও? আপনার বন্ধুটি যতটা সময়ে অর্জন করেছে তা পেছনে ফেলতে অর্ধেক সময় লাগবে আপনার। তাকে যতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে তার থেকেও কম পরিশ্রমে। কারন শিক্ষিত লোকের কাজের কৌশল ভিন্ন।যে কোন কাজে সফলতা পেতে লেগে থাকতে হয়। সল্প সময়ে কোন একটি কাজ সম্পর্কে খুব ভাল ভাবে দক্ষতা অর্জন করা যায় না। কিন্তু কোন কাজে লেগে থাকার মত ধৈর্য্য আমাদের মধ্যে খুব কম লোকের আছে। অনেকে অনেক বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন কিন্তু লেগে থাকার মত ধৈর্য্য দেখাতে ব্যর্থ হন। অবশ্য তারা কখনো কাংখিত লক্ষে পৌছাতেও পারেন না।

লেগে থেকে অসাধ্যকেও সাধন করা সম্ভব। কোন একটি কাজের আপনি কিছু বোঝেন না। সেই বিষয়টা সম্পর্কে জানার অনেক চেষ্টা করেছেন। আপনি যা জানার জন্য চেষ্টা করছেন সেই কাজটি কেউ না কেউ করে চলেছেন প্রতিনিয়তই সুনিপুন ভাবে। ভাবছেন সে খুব সহজেই কাজটি করে ফেলছে আমি কেন পারছি না। তাহলে এটা আপনাকে দিয়ে সম্ভব নয়। এটাই বোকামী।

তার রপ্ত করা এই কাজের পেছনের অভিজ্ঞতার কথা তার মুখ থেকে একটু শোনার চেষ্টা করুন। বিষয়টা দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে যাবে। কতটা সময় তার এই কাজের পেছনে লেগে থাকতে হয়েছে, কতটা মেধা আর কতটা পরিশ্রম তাকে এখানে দিতে হয়েছে জানুন। আশাহত হওয়ার কিছু নেই। আপনি পারবেন। কারন আপনার মধ্যে আছে উদ্যোম। জেগে উঠার ইচ্ছাশক্তি। সাহসী পদক্ষেপ। লেগে থেকে বাকিটা আপনিই প্রমান করুন।

The post যেকোন ব্যবসায়ে সফল হতে হলে হাল না ছেড়ে লেগে থাকুন ‍ first appeared on bangla.

]]>
আগুনে ফ্যাক্টরি পোড়ার পর ও থামেনি তার প্রচেষ্টা! http://n11.demo121.com/archives/646 Sat, 03 Oct 2020 03:25:39 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=646 ‘দুই ঘণ্টায় জ্বলেপুড়ে শেষ হলো আমার তিলতিল করে গড়ে তোলা কুসুমকলির কারখানা। আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে, একটি সুতাও আমরা বের করতে পারলাম না। কাঁদতে কাঁদতে মনে হলো, কী লাভ কান্নার। আমাকে ফের দাঁড়াতে হবে।’কথাগুলো বলছিলেন নাজমা খাতুন। ২০১২ সালের ২৫ জুন গাজীপুরে তাঁর ছোট্ট জুতার কারখানা পুড়ে শেষ হয়ে যায়। নাজমার গল্পটা এখানেই শেষ […]

The post আগুনে ফ্যাক্টরি পোড়ার পর ও থামেনি তার প্রচেষ্টা! first appeared on bangla.

]]>
‘দুই ঘণ্টায় জ্বলেপুড়ে শেষ হলো আমার তিলতিল করে গড়ে তোলা কুসুমকলির কারখানা। আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে, একটি সুতাও আমরা বের করতে পারলাম না। কাঁদতে কাঁদতে মনে হলো, কী লাভ কান্নার। আমাকে ফের দাঁড়াতে হবে।’কথাগুলো বলছিলেন নাজমা খাতুন।

২০১২ সালের ২৫ জুন গাজীপুরে তাঁর ছোট্ট জুতার কারখানা পুড়ে শেষ হয়ে যায়। নাজমার গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তা হয়নি; বরং এটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর উত্থানের কাহিনি।

নাজমা খাতুন বর্ণনা করেন কীভাবে দুবার শূন্য থেকে সবকিছু শুরু করতে হয়েছিল তাঁকে।

আগুন লেগে জুতার কারখানা পুড়ে যাওয়ার দিন রাতেই কাগজপত্র নিয়ে বসেছিলেন তিনি। দুই দিন আগে নামীদামি জুতার একটি কোম্পানিতে জুতা সরবরাহের বিল পেয়েছিলেন ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার। ব্যাংকে সেটিই জমা হয়েছে। আর আছে দুই খদ্দেরের দুটি কার্যাদেশ। কাঁচামাল কী কী লাগবে দুই কার্যাদেশের জন্য, রাতেই হিসাবনিকাশ করে ফেললেন।১৬ জন কর্মী রেখে বাকি কর্মীদের বেতন চুকিয়ে দিয়ে অন্য কোথাও কাজ নিতে পরামর্শ দিলেন।

তাঁর সাহস আর পরিকল্পনা দেখে সাপ্লায়াররা তাঁকে বাকিতে কাঁচামাল দিতে রাজি হয়েছিল। লতিফপুরে এক কারখানার মালিক তাঁর কারখানার কিছু অংশ নাজমাকে ছেড়ে দিলেন। আরেক কারখানার মালিক নাজমাকে ধার দিলেন তিনটি মেশিন। ধারের মেশিন আর ১৬ জন কর্মী দিয়ে শুরু হলো নাজমার জীবনের দ্বিতীয় লড়াই।

দেড় বছর পরের কথা। সকালে রুটি বানাতে বানাতে নাজমার চোখ গেল প্রথম আলোর বাণিজ্য পাতায়। দেখলেন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে পরদিন থেকে শুরু হবে তিন দিনের একটি ব্যবসা সম্মেলন। এর মাত্র কয়েক দিন আগে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্ট আর মালয়েশিয়ার ভিসা জোগাড় হয়েছে। সকাল ১০টার মধ্যে একজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার করে টিকিট কেটে বাসায় ফিরলেন।

সকালে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে নেমে প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলেন। এই প্রথম তাঁর দেশের বাইরে আসা, তা–ও একা। এয়ারপোর্ট থেকে এক আত্মীয়কে ফোনে জানালেন, তাঁকে যেন একটা হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। হোটেলে গিয়ে ব্যাগ-ব্যাগেজ রেখে হাজির হলেন সম্মেলনকেন্দ্রে। পরের তিন দিন সম্মেলনকেন্দ্রে আর ১১ দিন কুয়ালালামপুরে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরলেন নাজমা খাতুন।

এক মাস পরে আবার গেলেন কুয়ালালামপুরে। ‘১০০ ভাগ বিদেশি বিনিয়োগ’ কোটায় নিবন্ধন করলেন ‘ভিনকা’ নামের নিজের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। খুঁজে বের করলেন শোরুমের জায়গা। চালু করলেন নিজের জুতার দোকান। মালয়েশিয়ায়।

নাজমা খাতুনের গাজীপুরের কারখানার জুতা দেশের বাইরে বিক্রি হচ্ছে মালয়েশিয়ায়।

অথচ ১৯৯১ সালে অল্প বয়সে নাজমার বিয়ে হয় পাশের বাড়ির মিজানুর রহমানের সঙ্গে। আড়াই বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে পাস করেছেন এসএসসি, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থেকেছেন হোস্টেলে, পাস করে হয়েছেন প্যারামেডিকস। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ‘বড় কিছু করার’।প্যারামেডিকসের চাকরি করার পাশাপাশি যুব উন্নয়নের নানা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু কী করবেন মনস্থির করতে পারেননি। ২০০৫ সালে এক জুতার কারিগরের পরামর্শে বাসার সেলাই মেশিনটি পরিবর্তন করে সূচনা করেন কুসুমকলির। দেড় বছর শেষে বুঝতে পারেন, বাজারে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেনা আর জুতা বানানোর জ্ঞান ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয়নি।

ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকার ঋণ নিলেন আর সেখান থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুরোনো ঋণ শোধ করলেন। ৪০ হাজার টাকা হাতে নিয়ে নামলেন মাসে কমপক্ষে ৮১ হাজার টাকা রাজস্ব আদায়ের সংগ্রামে। এবার আর ভুল করলেন না। নিজেই নামলেন উৎপাদনে, কারখানার কর্মীদের সঙ্গে নিজেই হয়ে গেলেন কর্মী। প্রতিদিন ৪৮ জোড়া জুতা তৈরি করে সেটি সন্ধ্যাবেলায় তুলে দিতেন স্বামী মিজানুর রহমানের হাতে। মিজানুর রহমান সেটি বিক্রি করে পরদিনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরতেন!

‘আমার মন্ত্র ছিল—সততা, সময়মতো ডেলিভারি দেওয়া এবং সাশ্রয়ী মূল্যে স্যান্ডেল বানানো।’

সেই স্যান্ডেল বানিয়েই কুসুম, কলি আর নয়না নামের তিন মেয়ের মা নাজমা খাতুন গড়ে তুলেছেন দেশে আর মালয়েশিয়ায় তাঁর স্যান্ডেলের সাম্রাজ্য। লতিফপুরে নিজের ১০ শতাংশ জমির কারখানায় কাজ করেন ১৩০ জন কর্মী। পাশেই তৈরি হয়েছে নতুন শেড, আসছে নতুন মেশিন। জানুয়ারি মাস থেকে কারখানার উৎপাদনক্ষমতা হবে দৈনিক আড়াই হাজার জোড়া। নিজেই বানাবেন জুতার সোল। সেখানে, বেক্সিমকো শিল্পপার্কের পাশে জমি কিনেছেন। আগামী বছরেই তৈরি করবেন নিজের ‘কমপ্লায়েন্স কারখানা’, যাতে বের হতে পারেন বিশ্বজয়ে!

তথ্যসুত্র: মুনির হাসান ডটকম।

The post আগুনে ফ্যাক্টরি পোড়ার পর ও থামেনি তার প্রচেষ্টা! first appeared on bangla.

]]>
বিশ্ব সেরা ধনী, পুরানো বই বিক্রি করে http://n11.demo121.com/archives/641 Thu, 01 Oct 2020 10:18:32 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=641 মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এক বই বিক্রেতা! তিনি হলেন- অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার। খবর বিবিসির। জেফ বেজোসের […]

The post বিশ্ব সেরা ধনী, পুরানো বই বিক্রি করে first appeared on bangla.

]]>
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হলেন এক বই বিক্রেতা! তিনি হলেন- অনলাইনে কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ এখন ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি ডলার। তার থেকে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বিল গেটস, যার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলার। খবর বিবিসির।

জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা শিগগিরই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানি; অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লাখ কোটি ডলার।অ্যামাজনে এখন শুধু বই নয়, প্রায় সব কিছুই বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে পোষা বেড়ালের খাবার থেকে শুরু করে দামি ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে। শুধু তাই নয়, অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমনকি নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি, যাতে শিগগিরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে।

মাত্র দুই দশক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ একজন উদ্যোক্তা। কিন্তু তিনি দেখতে পেয়েছিলেন এমন এক যুগ আসছে, যখন কম্পিউটারের এক ক্লিকে যে কোনো জিনিস কেনা যাবে, শপিংমলের জনপ্রিয়তা কমে যাবে, দোকানগুলো ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য নানা রকমের অফার দিতে বাধ্য হবে।বেশ কয়েক বছর আগে তার হাইস্কুলের বান্ধবী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- তার সব সময়ই মনে হতো জেফ বেজোস একদিন বিরাট ধনশালী হবেন।

জেফ বেজোসের জন্ম ১৯৬৪ সালে। তখনও তার বাবা-মায়ের বয়স ১৯ পেরোয়নি। খুব দ্রুতই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর তিনি বড় হন তার মা জ্যাকি আর সৎ বাবা মাইক বেজোসের ঘরে।মাইক বেজোস তখন চাকরি করতেন এক্সন কোম্পানিতে। তার দেশ কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার পর তিনি পালিয়ে চলে আসেন আমেরিকায়। ছোটবেলা থেকেই জেফের আগ্রহ ছিল বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দিকে। তিন বছর বয়সেই তিনি স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে তার খেলনা খুলে ফেলতে শিখেছিলেন।

জেফ বেজোস যখন হাইস্কুলে পড়েন, তখন তার গ্র্যাজুয়েশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন- তিনি এমন এক অনাগত সময়কে দেখতে পাচ্ছেন, যখন মানুষ মহাশূন্যে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করবে। বেজোসের বয়স যখন ৩০, তখন একটি পরিসংখ্যান চোখে পড়ে তার; যাতে বলা হয়েছিল- ইন্টারনেটের দ্রুত বৃদ্ধির কথা।

তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- চাকরি নয়, নিজেই কিছু একটা করবেন। বেজোস চলে গেলেন আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তের শহর সিয়াটলে। তার নিজের জমানো কিছু টাকা আর পরিবারের কিছু সাহায্য মিলিয়ে এক লাখ ডলারের মতো অর্থ দিয়ে শুরু হয় অ্যামাজন নিয়ে তার স্বপ্নযাত্রা।

The post বিশ্ব সেরা ধনী, পুরানো বই বিক্রি করে first appeared on bangla.

]]>
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালে প্রফেশনাল ট্রেনিং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের http://n11.demo121.com/archives/638 Thu, 01 Oct 2020 05:25:02 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=638 সময়ের সাথে সাথে দেশ যতই এগিয়ে যাচ্ছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ততই আইটি নির্ভর হয়ে পড়ছে। যার ফলে আইটি সেক্টর হয়ে উঠেছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ। আইটি সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত শাখা যেমন- অ্যানিমেশন ও মাল্টিমিডিয়া, ইন্টেরিয়র ও আর্কিটেকচার, হার্ডওয়্যার ও নেটওর্য়াকিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, আউটসোর্সিং প্রভৃতি সেক্টরই […]

The post ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালে প্রফেশনাল ট্রেনিং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের first appeared on bangla.

]]>
সময়ের সাথে সাথে দেশ যতই এগিয়ে যাচ্ছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ততই আইটি নির্ভর হয়ে পড়ছে। যার ফলে আইটি সেক্টর হয়ে উঠেছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ।

আইটি সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত শাখা যেমন- অ্যানিমেশন ও মাল্টিমিডিয়া, ইন্টেরিয়র ও আর্কিটেকচার, হার্ডওয়্যার ও নেটওর্য়াকিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, আউটসোর্সিং প্রভৃতি সেক্টরই স্বপ্নময় সম্ভাবনা সমৃদ্ধ, কিন্তু দরকার বিশেষায়িত দক্ষতা ও জ্ঞানের গভীরতা এবং বাস্তবমুখী শিক্ষার প্রায়োগিক ক্ষমতা।

কিন্তু আমাদের দেশে বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবই এক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (দীপ্তি)’র প্রয়াশকে ব্যতিক্রম বলা যেতে পারে।সাফল্যের সাথে শতশত শিক্ষার্থীকে প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদান, আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করার জন্যই দীপ্তি আজ দেশের সেরা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।

দীপ্তি পরিচালিত কোর্সগুলি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারিক ক্লাশ ভিত্তিক যা সার্টিফাইড প্রফেশনাল প্রশিক্ষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে। কোর্সগুলির অন্য একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোর্স শেষে বাধ্যতামুলক রিয়েললাইফ প্রজেক্ট ওয়ার্ক ও ১-৩ মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ যা একজন শিক্ষার্থীকে হাতে কলমে কাজ শিখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও রয়েছে প্রশিক্ষকদের সার্বক্ষণিক ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্স সমাপ্তি, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল মূল্যায়নের নিশ্চয়তা। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত প্রাকটিক্যাল ক্লাসে কঠোর ভাবে মান নিয়ন্ত্রণের কারণে এখান থেকে পাশকৃত ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দের কোর্স শেষে চাকরির নিশ্চয়তা শতভাগ।দীপ্তি পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশন বৃত্তি প্রদান করে থাকে।

ন্যূনতম এসএসসি পাশ যে কোন বয়সের যে কেউ এই কোর্সগুলোতে ভর্তি হতে পারবে। প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ‘দীপ্তি’ বিগত ১৫ বছরে কয়েক হাজার বেকার প্রশিক্ষণার্থীকে কর্মপোযোগী করে গড়ে তুলেছে যাদের অনেকেই এখন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবমহিলাদের দক্ষ জনবল তথা আত্মকর্মসংস্থানের উপযোগী হিসাবে গড়ে তুলতে এক বছর মেয়াদি বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সসমূহে ডিসেম্বর’ ২০১৭ সেশনে ৬০তম ব্যাচে সীমিত সংখ্যক আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি চলছে।

রয়েছে ৩-৬ মাস মেয়াদিঃ থ্রিডি ম্যাক্স, মায়া, মাল্টিমিডিয়া, ম্যাক্রো মিডিয়া ফ্লাস, ভিডিওএডিটিং, অটো ক্যাড, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং, কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশনসহ বিভিন্ন কোর্স। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে http://admission.dipti.com.bd/ এই লিংকে প্রবেশ করুন।

The post ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালে প্রফেশনাল ট্রেনিং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের first appeared on bangla.

]]>
ক্ষমা করা উচিৎ, ঘৃণা পুষে না রেখে http://n11.demo121.com/archives/634 Thu, 01 Oct 2020 04:02:28 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=634 প্রতিটি মানুষের মাঝেই আবেগ আর অনুভূতি আছে। এগুলো না থাকলে আমরা হয়তো ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে পারতাম না। আরও একটি বিষয় যা আমাদের মানুষ করেছে, তা হল ভুল করার প্রবনতা। আগেই বলা হয়েছে, মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃতির নিয়মে বাঁধা নয়। সে তার নিজের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কাজ করতে পারে, জীবনের পথ বেছে নিতে পারে। আর […]

The post ক্ষমা করা উচিৎ, ঘৃণা পুষে না রেখে first appeared on bangla.

]]>
প্রতিটি মানুষের মাঝেই আবেগ আর অনুভূতি আছে। এগুলো না থাকলে আমরা হয়তো ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে পারতাম না। আরও একটি বিষয় যা আমাদের মানুষ করেছে, তা হল ভুল করার প্রবনতা। আগেই বলা হয়েছে, মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃতির নিয়মে বাঁধা নয়। সে তার নিজের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কাজ করতে পারে, জীবনের পথ বেছে নিতে পারে।

আর এই স্বাধীনতাগুলো অনেক সময়েই মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যায়। অনেক সময়েই এই ভুলগুলো আমাদের মনে অন্যদের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি করে। অনেক ঘৃণা আমরা সারাটা জীবন বয়ে বেড়াই। ঘৃণা এমন একটি বিষ যা কামনা করে অপরের ধ্বংস, কিন্তু আমরা টেরও পাইনা, আমরা নিজেরাই নিজেরাই এর ফলে নি:শেষ হয়ে যেতে থাকি।

অনেক সময়ে কোনও মানুষ, কোনও গ্রোত্র বা জাতির প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকি, যাদের সাথে আমাদের হয়তো জীবনে কোনওদিন সরাসরি দেখাই হবে না। তারা তাদের মত থাকে, কিন্তু মাঝথেকে ঘৃণার আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমরা নিজেরা নিজেদের কষ্ট দিই।

অনেক সময়ে একজন মানুষ তার নিজের ভুল বুঝতে পারলেও আমরা তাকে ঘৃণা করা বন্ধ করতে পারি না। এতেকরে আমরা আমাদের অপরিসীম ক্ষতি করে ফেলি।গডফাদার সিনেমার একটি বিখ্যাত সংলাপ আছে: “Never hate your enemies, it affects your judgment” – তাহলে দেখা যাচ্ছে শত্রুকেও যদি আমরা ঘৃণা করি, তাহলে তা আমাদের স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনা কাজ করে না, এরফলে আমরা অনেক সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।

তাই কেউ যদি তার ভুল বুঝতে পারে, আমাদের উচি‌ৎ তাকে ক্ষমা করে দেয়া। এমন কারও প্রতি ঘৃণা পুষে রেখে দিন পার করা উচি‌ৎ না যার কাছে পৌঁছানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারথেকে বরং মনযোগ দেয়া উচি‌ৎ নিজের ও আশপাশের মানুষের উন্নতি ও শান্তির দিকে। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত মহাপুরুষ এসেছেন, সবাই আমাদের বলেছেন শান্তির পথ বেছে নিতে।

কারন এই মহান মানুষগুলো খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন, ঘৃণা শুধু একজন মানুষ ও তার আশপাশকে ধ্বংসই করতে পারে। ঘৃণার ফলাফল কখনও ভাল হয় না। ন্যায় বিচারের জন্য ঘৃণা পুষে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই, অপরাধ যে করেছে, বিচার তার হবেই। আজ অথবা কাল। কাজেই ঘৃণা পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেয়ার থেকে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকাই পরিপূর্ণ জীবন যাপনের উপায়।

The post ক্ষমা করা উচিৎ, ঘৃণা পুষে না রেখে first appeared on bangla.

]]>
প্লাস্টিক বোতল দিয়ে তুলা তৈরীর ব্যবসা! http://n11.demo121.com/archives/591 Tue, 29 Sep 2020 11:07:47 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=591 পানি খাওয়ার পর যে বোতলটি বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়, সেই প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি হচ্ছে তুলা। এই তুলা দিয়ে সুতা বানিয়ে রং-বেরঙের পলেস্টার কাপড় তৈরি হচ্ছে। এই তুলা আবার বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয়ের পথ তৈরি হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রি-সাইকেল পদ্ধতিতে তুলা তৈরির এই অভিনব কাজটি এখন […]

The post প্লাস্টিক বোতল দিয়ে তুলা তৈরীর ব্যবসা! first appeared on bangla.

]]>
পানি খাওয়ার পর যে বোতলটি বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়, সেই প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি হচ্ছে তুলা। এই তুলা দিয়ে সুতা বানিয়ে রং-বেরঙের পলেস্টার কাপড় তৈরি হচ্ছে। এই তুলা আবার বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রি-সাইকেল পদ্ধতিতে তুলা তৈরির এই অভিনব কাজটি এখন দেশেই হচ্ছে।ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের পানিয়াশাইলে চীনা প্রযুক্তির একটি কারখানা তৈরি হয়েছে। মুমানু পলিয়েস্টার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে ওই কারখানাটিতে গত কয়েক মাস ধরে প্লাস্টিক পেট বোতল দিয়ে দৈনিক প্রায় ৪০ টন তুলা উত্পাদন করা হচ্ছে। চীন, ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে এ ধরনের কারখানা থাকলেও বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে তুলা উত্পাদনের এটিই প্রথম কারখানা।

যেভাবে পাওয়া যায় তুলা :

পানি খাওয়ার পর ফেলে দেওয়া স্বচ্ছ বোতল সংগ্রহ করা হয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। এই পেট বোতল ছোট ছোট করে কেটে ফ্লেক্স তৈরি করা হয়। এরপর গরম পানি দিয়ে সেই ফ্লেক্স ধোয়া হয়। উচ্চ তাপ ও চাপে সেই ফ্লেক্স আট ঘণ্টা বায়ু নিরোধক ড্রামে রাখা হয়।

ভ্যাকুয়াম ড্রামে তাপ দেওয়ার পর তৈরি হয় পেস্ট। সেই পেস্ট স্পিনারেট দিয়ে স্নাইবার করা হয়। এরপর তা সূক্ষ্ম সুতার আকারে বেরিয়ে আসে।ওই সুতা আবার বিভিন্ন আকারের কাটিং করে মেশিনে ঢোকানোর পর পলেস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পি.এস.এফ) হিসেবে সাদা তুলা বেরিয়ে আসে। উত্পাদিত তুলা বাজারে বিক্রি করা কার্পাস তুলার মতই মোলায়েম ও মসৃণ।

প্লাস্টিক বোতল থেকে তুলা তৈরির এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর রপ্তানির উদ্দেশ্যে মেশিনেই তা প্যাকেজিং করা হয়। এ থেকে সুতার মতো যে বর্জ্য বের হয় সেটিও আবার রি-সাইকেল পদ্ধতিতে তুলা তৈরিতে ব্যবহূত হয়।

জানা গেছে, এ ধরনের তুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চীনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। আগে চীন কাঁচামাল হিসেবে সরাসরি প্লাস্টিক পেট বোতল আমদানি করে নিজেরাই এ ধরনের তুলা উত্পাদন করত। সম্প্রতি দেশটি প্লাস্টিক বোতল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ফলে এখন ফিনিশড পণ্য হিসেবে তুলা বা পি.এস.এফ. আমদানি করছে দেশটি। এ কারণে রপ্তানি পণ্য হিসেবে এ ধরণেন পি.এস.এফ তুলার কদর বাড়ছে।

মুমানু পলিয়েস্টার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি আবুল কালাম মোহাম্মদ মূসা বলেন, এ ধরনের কারখানা গড়ার পেছনে দুটো উদ্দেশ্য কাজ করেছে।

এক : তুলা তৈরির কাঁচামাল হিসেবে প্লাস্টিকের ফেলে দেওয়া বোতল ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ তুলা বানাতে যে ধরনের বোতল ব্যবহৃত হয় তা মাটির সঙ্গে মেশে না। ফলে পরিবেশের ব্যাপক দূষণ করে এটি। সেজন্য পরিবেশ সুরক্ষায় ফেলে দেওয়া এই বোতল কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচামাল হিসেবে।

দুই : এই বর্জ্য থেকে উত্পাদিত তুলা বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারখানার কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম স্থাপিত এ ধরনের কারখানা থেকে দৈনিক প্রায় ৪০ মেট্রিক টন তুলা উত্পাদন হচ্ছে, যা শিগগিরই ৮০ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।

প্রতি কেজি পি.এস.এফের রপ্তানি মূল্য এক ডলার হলেও দৈনিক প্রায় ৮০ হাজার ডলারের তুলা উত্পাদনে সক্ষম ওই কারখানাটি। তবে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটিতে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। কারখানার কর্মকর্তারা জানান, নতুন প্রযুক্তির কারখানাটি স্থাপনের পর কাঁচামাল সংগ্রহসহ দেশীয় বাজারে উত্পাদিত তুলার যথাযথ মূল্য না থাকায় এটি অলাভজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমানে সরকার পেট বোতল ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে ভর্তুকি দিচ্ছে। কারখানা সংশ্লিষ্টরা পেট বোতল ব্যবহার করে তুলা উত্পাদন করার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন করছেন। ফলে এই খাতে তারা ২০ শতাংশ রপ্তানি ভর্তুকির সুযোগ চান সরকারের কাছে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ মূসা বলেন, আমাদের উত্পাদিত তুলার চাহিদা বিদেশে থাকলেও দেশে এখনো সে ধরনের চাহিদা তৈরি হয়নি। ফলে যথাযথ মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সরকার রপ্তানি ভর্তুকি দিলে সম্ভাবনাময় এই শিল্প খাতের বিকাশ ঘটবে। এতে ফেলে দেওয়া বর্জ্য ব্যবহার করে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে, তেমনি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সম্ভাবনাময় এই শিল্পে।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ প্রতিটিন ডটকম।

The post প্লাস্টিক বোতল দিয়ে তুলা তৈরীর ব্যবসা! first appeared on bangla.

]]>
সন্তানের সফলতার জন্য মায়ের দোয়াই যথেষ্ট! http://n11.demo121.com/archives/585 Tue, 29 Sep 2020 10:53:17 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=585 থিবীর বুকে আমাদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল ”মা”। যত আবদার যত অভিযোগ সবই মায়ের কাছে। নাড়ী ছেড়া ধন সন্তানের জন্য দশ মাস দশ দিন শুধু নয়, মায়ের সারাটা জীবন উৎস্বর্গ করেও যেন মায়ের তৃপ্তি নেই। কিন্তু সেই মায়ের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি আমরা? বৃদ্ধাশ্রম তো একটা সুসন্তানের মায়ের জায়গা হতে পারে না..! মায়ের দোয়া সন্তানের জন্য […]

The post সন্তানের সফলতার জন্য মায়ের দোয়াই যথেষ্ট! first appeared on bangla.

]]>
থিবীর বুকে আমাদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল ”মা”। যত আবদার যত অভিযোগ সবই মায়ের কাছে। নাড়ী ছেড়া ধন সন্তানের জন্য দশ মাস দশ দিন শুধু নয়, মায়ের সারাটা জীবন উৎস্বর্গ করেও যেন মায়ের তৃপ্তি নেই। কিন্তু সেই মায়ের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি আমরা? বৃদ্ধাশ্রম তো একটা সুসন্তানের মায়ের জায়গা হতে পারে না..!

মায়ের দোয়া সন্তানের জন্য কত বড় আর্শীবাদ তা আমরা অনেকেই হয়ত ভাবি না। মায়ের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দোয়া অর্জন করে একটা সন্তান তার জীবনটা বদলে নিতে পারে। তেমন কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করব আপনাদের সাথে ধারাবহিক ভাবে।

আব্দুলাহ মাহতাব। একজন সফল ব্যবসায়ী। যার ব্যবসার শুরুটা হয় সতের বছর বয়সে। মায়ের সাথে তার জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার শেষ পর্ব শেয়ার করব আজ। সন্তানকে যতটুকু সুশিক্ষা দেওয়ার তার কোনটা দিতে মা কুন্ঠাবোধ করেননি।

সৎ পথে চলার পরামর্শের সাথে কিভাবে সঠিক পথে জীবন গড়তে হবে তার উপযুক্ত শিক্ষাটা মা দিয়েছেন। দোয়া করে গেছেন জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সন্তানের জন্য।বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সমস্ত পরিবারকে রেখেছেন স্নেহ মমতায়। নিজ সন্তানকে সতের বছর বয়সে সম্পত্তি তুলে দিয়েছিলেন ব্যবসার জন্য। সন্তানও সে সম্পত্তির যথাযথ সদ্যবহার করে সৎপথে উপার্জন করেছেন। মায়ের প্রতি কর্তব্যের কোন প্রকার অবহেলা করেননি সন্তান। শেষ সময় পর্যন্ত মায়ের পাশে থেকে সেবা করে গেছেন।

মায়ের শেষ বিদায়ের আগ মুহুর্তের কিছু সৃত্মি যা আজও আব্দুল্লাহ মাহতাবের স্মরনে আসলে মায়ের জন্য অজান্তে দুচোখে অঝোরে পানি ঝরতে থাকে। মা মারা যাওয়ার বেশ কিছু দিন আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। বিছানায় পড়ে গিয়েছিলেন সম্পূর্ণরুপে। উঠতে পারতেন না বিছানা থেকে। এমনকি বিছানাতেই প্রসাব পায়খানা করেছেন। একদিন রাতের কথা মায়ের বিছানার পাশে গিয়ে দেখলেন মা খুব অস্বস্থ্যি বোধ করছেন। মুখঅবয়বে তা স্পষ্ট। বেশ কষ্ট হচ্ছে তা মায়ের চােখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে অসুবিধা হল না।

আস্তে করে মায়ের মুখ থেকে খুব অসহায় উচ্চারন তুমি এসেছ বাবা? আমি তো একটা কাজ করে ফেলেছি অজান্তেই। বিছানায় প্রসাব করে ভিজিয়ে ফেলেছি। আমি বৃদ্ধ মানুষ, আমার প্রসাবে তো অনেক গন্ধ। মায়ের কথা শুনে সন্তানের সহজ ও সরল উত্তর আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার প্রসাব পায়খানা কত যত্ন সহকারেই তো পরিস্কার করেছেন। আপনার তো কষ্ট মনে হয়নি একটি বারের মত। আমার কেন কষ্ট লাগবে।

মায়ের প্রসাব মাখা পোষাক ও বিছানা পরিস্কার করানোর ব্যবস্থা করলেন। মায়ের জন্য এতটুকু করার সৌভাগ্য তো সব সন্তানের হয় না। পরিস্কার ও শুকনা অনুভুতি পেতে মা আরাম অনুভব করলেন কিছুটা। সন্তানের জন্য দুই হাত তুলে দোয়া করলেন আল্লাহর দরবারে। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মাফ চাইলেন। সন্তানের মঙ্গলের জন্য আল্লাহর কাছে চাইতে থাকলেন।

মারা যাওয়ার আগে শেষ তিন দিনে একমাত্র সন্তানকে ওছিয়ত করে গেলেন। শেষ বারের মত উপদেশ দিয়ে গেলেন সৎপথে সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে। গরীব অসহায়ের পাশে দাড়াতে। কারো প্রতি অন্যায় আচরন করা থেকে বিরত থাকতে বললেন। মিথ্যা পরিত্যাগ করে সব সময় সত্যের আশ্রয় নিয়ে চলতে বললেন।

চোখে পানি নিয়ে সন্তানের কাছ থেকে মা মাফ চেয়ে নিলেন। সন্তানকে বললেন তোমার সব ভুলত্রুটি আমি ক্ষমা করে দিলাম। আজ থেকে তোমার সকল ঋণও আমি মুক্ত করে দিলাম। লালন পালন থেকে শুরু করে বুকের দুধের ঋণ সহ সব ধরনের ঋণ থেকে তোমাকে দায়মুক্ত করে দিলাম। আমার দোয়া সব সময় তোমার সাথে থাকবে।

সন্তানের জন্য আরও বলে গেলেন তোমার স্ত্রীকে সব সময় দেখে রাখবে। সন্তানদেরকে সঠিক ও উপযুক্ত শিক্ষায় মানুষের মত মানুষ করে তুলবে। আর তোমার সম্পদ সঠিক ভাবে তাদের মধ্যে বন্টন করে দিবে। আমি তাদের জন্যও দোয়া করে যাচ্ছি। পরের দুই দিনে মায়ের শরীর আরও খারাপ হতে থাকে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে বিদায় নেন।

সন্তান এবং মায়ের সম্পর্ক দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক। মায়ের দোয়া সন্তানের জন্য পথ চলার পাথেয়। আমাদের অনেকেই মায়ের যথাযথ সম্মান করতে পারি না। স্ত্রী সন্তান দুনিয়ার মোহে পড়ে মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু এটুকু বিশ্বাস করেন মা বাবা সন্তানের জন্য অনেক বড় নিয়ামত। পৃথিবীর সমস্ত সফলতা একমাত্র মায়ের দোয়ার বদৌলতে আসতে পারে।

সময় থাকতে মায়ের সেবা করে দোয়া আদায় করে নিন। কর্তব্য পালনের মাধ্যমে মধুর সম্পর্ক তৈরী করুন। দুনিয়ার মায়ের সেবা করার মাধ্যমে পরকালে পরকালে বেহশত পাওয়ার রাস্তাও সুগম হবে।

The post সন্তানের সফলতার জন্য মায়ের দোয়াই যথেষ্ট! first appeared on bangla.

]]>
১০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসে গার্মেন্টস মালিক! http://n11.demo121.com/archives/579 Tue, 29 Sep 2020 10:40:39 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=579 লিয়াকত হোসেন মোগলের জন্ম যশোর কোতোয়ালি থানার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে। সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও বায়িং হাউসের মালিক তিনি। এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান। গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ৪৫০ টাকা বেতনে গার্মেন্টসে চাকরি নেওয়া লিয়াকত হোসেন মোগলের বড় ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার কথা।মোগল ফ্যামিলির ছেলে আমি। জমিদারি ছিল […]

The post ১০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসে গার্মেন্টস মালিক! first appeared on bangla.

]]>
লিয়াকত হোসেন মোগলের জন্ম যশোর কোতোয়ালি থানার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে। সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও বায়িং হাউসের মালিক তিনি। এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান।

গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে ৪৫০ টাকা বেতনে গার্মেন্টসে চাকরি নেওয়া লিয়াকত হোসেন মোগলের বড় ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার কথা।মোগল ফ্যামিলির ছেলে আমি। জমিদারি ছিল কিন্তু অনেক জমি-জায়গা সব এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছিল। স্কুল জীবন কেটেছে গ্রামেই। ছোটবেলা থেকেই বাবার মুদি দোকানে বসতাম আর পড়াশোনা করতাম। বাবার রাইস মিল ছিল, সেখানে বসতাম মাঝে মাঝে।

এছাড়া বাজার করা, মাঠে ঘাটে ঘুরে বেড়াতাম। একটু বড় হওয়ার পর এসবের পাশাপাশি ব্যবসাও করেছি। আজ আমি সফল ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকে আমি অনেক পরিশ্রমী।আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সততা, নিয়মানুবর্তিতা, পরিশ্রমী এবং মানুষকে সম্মান করা।পড়াশোনা করেছি গ্রামে। খুব ইচ্ছা ছিল শহরে যাব, ব্যবসা করব। পরে মাত্র ১০০ টাকা পকেটে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম ১৯৮৪ সালে। ঢাকায় এসে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম।

অনেক চেষ্টার পর গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র ৪৫০ টাকা বেতনে প্রথম চাকরিতে ঢুকেছিলাম ওই বছরের মে মাসে। সুপার ভাইজার থেকে চিফ সুপার ভাইজার, ফ্লোর ইনচার্জ এবং পরে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়েছিলাম। চাকরিতে যোগদানের ৯ মাসের ভেতরে ৪৫০ টাকার বেতন বেড়ে দাঁড়াল প্রায় ৩ হাজার।

এরপর প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে গার্মেন্টস থেকে যখন চাকরি ছাড়ি তখন বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা। গার্মেন্টসের প্রোডাকশন ম্যানেজার থেকে ১৯৮৭ সালে মাত্র ৩ হাজার টাকায় চাকরি নিলাম এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের বায়িং হাউজ ফ্রেন্ডস গ্রুপ অব কোম্পানিতে। ১৯৯১ সালে একই বায়িং হাউজের আমি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।

কোম্পানিই আমাকে অফার করে ডিরেক্টর পদে নিয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে চ্যানেল আইয়ের ইমপ্রেস গ্রুপে যোগ দিলাম। এরপর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিজে বায়িং হাউজ দিলাম উত্তরাতে। এরপর আশকোনাতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি দিলাম। এরপর থেকে ভালোই চলছে। পাশাপাশি কিছু সেবামূলক কাজ করার চেষ্টাও করে যাচ্ছি।

মোগল বংশ তো; মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ভাবনা ছিল। আর সেই চিন্তা থেকে মানুষকে বের করে আনতে চেয়েছি। যেদিন থেকে আমি বুঝতে শিখেছি মৃত্যুকালে একটি কয়েনও সঙ্গে নিয়ে যেতে পারব না, সেদিন থেকেই আমি চিন্তা করলাম মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করব। করেছিও। আগামীতে ইচ্ছা আছে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের।

জোবেদা মোগল ইনস্টিটিউট নামে আমার মায়ের নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে পড়াশোনা করছে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। ৯ বিঘা জমিতে স্কুলটি। এখানে শিক্ষার্থীরা ভালো স্টাইফেন পায়, রেজাল্ট খুবই ভালো করছে। আমার প্রতিষ্ঠা করা অস্ট্রেলিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল রয়েছে।

এছাড়া আমার বাবার নামে ‘রোটারি খোরশেদ আলী মোঘল’ নামে একটি হেল্থ কমপ্লেক্স রয়েছে এলাকায়। রোগী ভর্তির কোনো ব্যবস্থা নেই। ডাক্তার বসেন, রোগী সেখানে গিয়ে প্রেসক্রাইব নেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ক্যাম্প বসিয়ে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিসের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছি চলতি বছরের জানুয়ারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে যা কিছু প্রয়োজন, সবই করব। আশুলিয়াতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসের নির্মাণ শেষের পথে। আমরা খুব দ্রুত সেখানে চলে যাব। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিভাগ চলেও গিয়েছে। নতুন ক্যাম্পাসে জিম, সুইমিং পুল করা হবে।

শিক্ষার্থীরা যেন ক্যাম্পাসে গিয়ে লেখাপড়ার সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারে সে ব্যবস্থাও থাকবে। এসব না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ হয় না। শুধু পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে ছেলেমেয়েরা। আসলে আমার তেমন অবসর নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত। প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি।

বাড়িতে ছাদ কৃষি আছে, প্রতিদিন চেষ্টা করি সে সব সবজি গাছে পানি দিতে, গাছের গোড়ার মাটি নেড়ে দিই। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর সকালে অফিসে চলে আসি; মাঝে মাঝে ব্যবসার খোঁজখবর নিই। রাতে বাসায় ফিরে এশার নামাজ পড়ে শারীরিক সুস্থতার জন্য সুইমিং পুলে সাঁতার কাটি। এরপর ঘুমোতে যাই।

The post ১০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসে গার্মেন্টস মালিক! first appeared on bangla.

]]>
চা বিক্রি করে এক নারী কোটিপতি! http://n11.demo121.com/archives/576 Tue, 29 Sep 2020 10:32:08 +0000 https://www.uddoktasomachar.com/?p=576 ব্যবসা করবেন বলে স্থায়ী চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন । চাকরি ছেড়ে এতোটা সফল হবেন তা নিজেও বুঝতে পারেননি। সাধারণ এই গল্পটা অনেকেরই হতে পারে। তবে একজন মার্কিন মহিলা চা বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যাবেন, এই গল্পটা সত্যিই অবাক করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কলোরাডোর ব্রুক এডির জীবনে । ব্রুক ২০০২ সালে ভারতে এসেছিলেন ঘুরতে। চাও খেয়েছিলেন। কিন্তু […]

The post চা বিক্রি করে এক নারী কোটিপতি! first appeared on bangla.

]]>
ব্যবসা করবেন বলে স্থায়ী চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন । চাকরি ছেড়ে এতোটা সফল হবেন তা নিজেও বুঝতে পারেননি। সাধারণ এই গল্পটা অনেকেরই হতে পারে। তবে একজন মার্কিন মহিলা চা বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যাবেন, এই গল্পটা সত্যিই অবাক করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কলোরাডোর ব্রুক এডির জীবনে ।

ব্রুক ২০০২ সালে ভারতে এসেছিলেন ঘুরতে। চাও খেয়েছিলেন। কিন্তু সে তো কত পর্যটকই খান। তবে এই ভারতীয় চা রীতিমতো পছন্দ হয়ে গিয়েছিল ব্রুকের। ভেবেছিলেন নিজের দেশেও এ রকম চা পাবে।

তবে চার বছর পর দেশে ফিরে হতাশ হতে হয়েছিল ব্রুককে। কোথাও ভারতীয় চায়ের মতো স্বাদ পাননি তিনি। তাই উদ্যোগটা নিয়েছিলেন। খুলেছিলেন নিজের ভারতীয় চায়ের স্টল। নাম ভক্তি চা।

একজন মার্কিনি হয়ে ভারতীয় চায়ের স্টল খুলে ২০০৭ সাল থেকে যে ব্যবসা শুরু করেন তিনি, ২০১৮ সালে তার টার্ন ওভার দাঁড়িয়েছে সাত মিলিয়ন ডলার।আমেরিকার একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রুকের বিশেষত্ব চায়ের ইনফিউশন।

ভারতীয় চা কে মার্কিনি মোড়কে পেশ করেন ব্রুক। সেখানেই ম্যাজিক। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে কিছু সময়ের মধ্যেই বিস্তর জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়। ভক্তি চা নিজের একটা ওয়েবসাইট খুলেছে ২০১৭ সালে। ঘরোয়াভাবে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ তা রমরমায় খুশি ব্রুক। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার ভারত ঘুরে গিয়েছেন ব্রুক। এখানে রঙিন জীবন, খাওয়া-দাওয়ার বৈচিত্র্য তাকে বারবার ভারতে টেনে আনে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিঙ্গল মাদার হিসেবে দুই সন্তানের জননী ব্রুক ইতিমধ্যেই উঠতি ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রথম পাঁচে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে খেতাবও পেয়েছেন তিনি।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

The post চা বিক্রি করে এক নারী কোটিপতি! first appeared on bangla.

]]>