">
বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য আর ছোটখাটো অবস্থানে সীমাবদ্ধ নেই। অভ্যন্তরীণ গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও।
বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা নানা ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রফতানি খাতে অনেক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।সঠিক গাইডলাইন ও পণ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নিজে নিজেই এ ব্যবসা শুরু করা যায়।
নতুন উদ্যোক্তা, সিজনাল ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, উচ্চ বেতনের চাকরি প্রার্থীসহ সব ধরনের পেশাজীবী বিশেষ করে যারা কম-বেশি পুঁজিতে নতুন ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করছেন তারা আমদানি-রফতানি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
দরকার সঠিক ধারণা: ব্যবসা করতে চান কিন্তু খুব বেশি বিনিয়োগ করার সক্ষমতা নেই এমন উদ্যোক্তাদের জন্য ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট বা আমদানি-রফতানি ব্যবসা একটি আদর্শ কর্মক্ষেত্র হতে পারে।
যেখানেই নিজেই নিজের বস, সিদ্ধান্ত নিজের কিন্তু ব্যবসার পরিসীমা অসীম।স্বল্প পুঁজি থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের বিনিয়োগ সক্ষম ব্যক্তি নির্ভয়ে আমদানি-রফতানি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ খাতে স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কয়েক বছরের মধ্যেই বড় ব্যবসায়ী হয়ে ওঠা সম্ভব।
এ জন্য একটি কার্যকারী পরিকল্পনার মাধ্যমে সঠিক গাইডলাইন ও পণ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। চীন ও ভারতের সঙ্গে আমদানি ব্যবসার ব্যাপক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এখানে নতুন উদ্যোক্তাদের সংখ্যা খুবই কম। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে এ ব্যবসার খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কিত সঠিক ধারণা না থাকা।
কী ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি: পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে পণ্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কী ধরনের পণ্য কোনো দেশে পাঠাবেন এবং ওই দেশে ওই পণ্যের চাহিদা কেমন সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। বাংলাদেশে আমদানিজাত অনেক পণ্য রয়েছে।
এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রী, শিল্প-কারখানার জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, পরিবহনসামগ্রী, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশন, ওভেন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন গৃহসামগ্রী, খনিজতেল, ভোজ্যতেল, চর্বি, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্য, পানীয় দ্রব্য ইত্যাদি।
আর রফতানিজাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, চা, চামড়া, তামাক, পাটজাত দ্রব্য, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, রকমারি ফুল ইত্যাদি।
পণ্য আমদানিতে চীন সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজলভ্য: বর্তমানে অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশের বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি করে এবং সে ক্ষেত্রে চীন হল সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজলভ্য।
চীনা পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করায় ঝুঁকি কম কিন্তু সেটা তুলনামূলক লাভজনক।তাই অনেকেই নতুন করে এই ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু পণ্য আমদানি করতে অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার কারণে ব্যবসা শুরু করেও অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। আবার অনেকেই দেশের বাইরে পণ্য রফতানি করতে আগ্রহী কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না।
কিছু ব্যবসায়িক আইডিয়া: চিন্তার খোরাক হিসেবে আমদানি-রফতানি শুরু করার আগে বাজারে কোনো ধরনের পণ্যের চাহিদা এখন বেশি সেটি যাচাই করতে হবে। ধরুন এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর টেস্ট করতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
অনেক হাসপাতালেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করার কীট নেই। ফলে এই কীট দ্রুত নিয়ে এসে এখানে সাপ্লাই দিলে ব্যাপক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হঠাৎ খেয়াল করলেন দেশে কফি মেশিনের চাহিদা বেড়ে গেছে বা চীন থেকে অটোবাইকের ভালো ব্যবসা হচ্ছে।
তখন আপনি এসব পণ্য দেশে নিয়ে আসতে পারলে ভালো লাভবান হতে পারেন। খুব ছোট পণ্য যেমন মেমরি কার্ড, মোবাইলের ব্যাক কাভার, পার্স, মানিব্যাগ, ব্লুটুথ স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক, হাত ঘড়ি, স্মার্ট ওয়াচ, পোর্টেবল ফ্যান, লাইট, এলইডি লাইট, সিসি ক্যামেরাসহ নানা গ্যাজেট নিয়ে আসতে পারেন।
কেমন বাজেট হওয়া উচিত: আমাদানি-রফতানি ব্যবসা করার জন্য অবস্থা ভেদে বাজেট নির্ধারণ করতে হয়। এসব পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রাথমিক অবস্থায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা বাজেটে নিজের ইচ্ছা মতো শুরু করা যায়।
পরে ব্যবসা ভালো হলে বিনিয়োগ বাড়িয়ে বা পার্টনার নিয়ে ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তবে কেউ যদি বড় পরিসরে কোটি টাকার ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন তবে সেটাও করা যেতে পারে।
ব্যবসা বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যত গুড় তত মিষ্টি।কোথায় যোগাযোগ করবেন: অনেকেই চিন্তা করতে পারেন চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করব কীভাবে, পেমেন্ট দেব কীভাবে, পণ্যের মূল্য জানা, সেটি সঠিক চ্যানেলে পণ্য নিয়ে আসা, এলসি করাসহ বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতার কারণে অনেকেই আমদানি-রফতানি ব্যবসা করতে ভয় পান।
তাই যারা আমদানি-রফতানি ব্যবসা করছেন অথবা নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছেন; আবার যারা সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না অথবা পুঁজি স্বল্প বলে ব্যবসাটি করার সাহস পাচ্ছেন না; তাদের জন্যই কাজ করছে চীন-বাংলাদেশের যৌথ প্রতিষ্ঠান ডোরপিং ডটকম।
বাংলাদেশে বসে চীনে ব্যবসা করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন www.doorping.com এই ঠিকানায় অথবা ফোন করতে পারেন ০১৭১১-৩৪৫৭৭১ এই নম্বরে।