"> দশ বছরে বয়সে নিজে প্রতিষ্ঠান খুলেন গুগলের চাকরি ছেড়ে – bangla
  1. admin@uddoktasomachar.com : admin12 :
রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

দশ বছরে বয়সে নিজে প্রতিষ্ঠান খুলেন গুগলের চাকরি ছেড়ে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৪১ Time View

প্রতিভার কোন বয়সের দরকার হয় না। প্রতিভা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিকশিত হয়। আর তাই সেখানে বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা এ কথাই যেন প্রমাণিত করেছে আজকের আমাদের ক্ষুদে জিনিয়াসের কাহিনী।

সাধারণত যে বয়সে সবাই খেলাধুলা এবং পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে অর্থাত্‍ স্কুলের হোমওয়ার্ক বা নাচ ,গান বা অন্য কিছু বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে, সেই বয়সেই যদি কোন কিশোর বা কিশোরী অন্যকে শিক্ষাদান করে থাকে তাহলে সে তো একদম জিনিয়াসের পর্যায়ে পড়ে।

আর এক্ষেত্রে এ জিনিয়াস শুধু স্বাক্ষর করার দিকেই নয় বর্তমান বিজ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্যতম হাতিয়ার হলো কম্পিউটার, আর এই কম্পিউটারের সফটওয়্যার ও বর্তমানের বিভিন্ন অ্যাপ তৈরিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোডিং। আর এই কোডিং বিষয়ে এক সহজাত দক্ষতা অর্জন করেছেন আজকের আমাদের ক্ষুদে জিনিয়াস।

সামাইরা মেহতা, ১০বছর বয়সের এই ক্ষুদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জিনিয়াস সিলিকন ভ্যালিতে বেড়ে উঠেছে ছোটবেলা থেকেই ।এই জিনিয়াস একজন বর্তমান প্রজন্মের সফলতম ক্ষুদে প্রোগ্রামার।

আর তাই এই দশ বছর বয়সেই এই জিনিয়াস তৈরি করেছে তার এক নিজের কোম্পানি । এই কোম্পানির নাম “কিডস বাণিজ”,যা তার মত খুদে বয়সের ছেলে মেয়েদের কম্পিউটারের কোডিং শেখানোর প্রাথমিক জ্ঞান দিয়ে থাকে।

আর এই ক্ষুদে জিনিয়াস এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তার প্রতিবার খবর শুধু আমেরিকার মাটিতেই নয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে । সিলিকন ভ্যালির বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ক সম্মেলনে এই ক্ষুদে জিনিয়াস কে বিশেষ সম্মান দেওয়ার সাথে সাথে তার অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তুলে ধরার কথা প্রকাশ করতে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয় অনেকবার।

এটা তখন শুরু হয়েছিল যখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। আসলে বাবা রাকেশ মেহেতা একজন ইনটেল নামক আইটি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার। আর তাই ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছে কম্পিউটার নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে। এই কিশোর বয়সেই বাবার সহযোগিতা নিয়ে সে তৈরি করে ফেলেছিল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর একটি ছোট্ট গেম যার নাম ছিল কোডার বাইনজ, যা আদতে ছিল অন্যান্য সকল শিশুদের কোডিং শেখানোর কোডিং শেখানোর একটি প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক খেলা।

কোডিং বিষয়ে তার দক্ষতা শুরু হয়েছিল মাত্র ছয় বছর বয়স থেকেই । আর এই বোর্ড গেম উদ্ভাবন করার জন্য “থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লার্নিং পিচ ফেস্ট ২০১৬” নামক এক প্রতিযোগিতায় ২৫০০ ডলার এর আর্থিক পুরস্কার যুক্ত দ্বিতীয় আর্থিক পুরস্কার যুক্ত দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে সে।

পরবর্তীতে সে তার এই গেম বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে বিপনী করতে শুরু করে আর মাত্র ১ বছরের মধ্যে এই গেমের ১০০০ কপি বিক্রি হয়ে যায়। যার ফলে তার বার্ষিক আয় শুধু এই গেম বিক্রি করে ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার হয়ে যায়। আর তার পরিচিতি যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন গুগল, মাইক্রোসফট এর মত কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর আন্তর্জাতিক কোম্পানি তাদের নিজস্ব ওয়ার্কশপে এই ক্ষুদে জিনিয়াসকে আমন্ত্রিত করে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কম বয়স্ক শিশুদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে উত্‍সাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ওয়াকসপ করতে থাকে।

এমনকি গুগল এর তরফ থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় তার যখন কলেজে পড়া শেষ হয়ে যাবে তখন সে যদি চায় তাহলে গুগল এ যোগদান করতে পারবে একজন প্রোগ্রামার হিসাবে। যদিও তার ইচ্ছা কোন কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করার নয়, বরং নিজের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এককভাবে এক নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করার স্বপ্ন তার চোখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019 bdwebs.com
Theme Customization By onlinechannel.Com