">
পেশা হিসেবে ঠিক যতটা চ্যালেঞ্জিং; উদ্যোক্তা শব্দটা ততটাই আকর্ষণীয়। আপনি চাইলেন আর উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হয়ে গেলেন, ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষার সাথে অন্যান্য বেশ কিছু গুণাবলির সমন্বয় হলেই কেবল সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
সেক্ষেত্রে সাতটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি রয়েছে যেগুলো একজন উদ্যোক্তার সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই দরকার। এই সাতটি গুণাবলিকে সংক্ষেপে ইংরেজিতে সেভেন পি (7P) বলা হয়।
চলুন জেনে সেভেন পি কী:
১. Positivity- ইতিবাচক মনোভাব: যেকোন পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকতে হবে। পজিটিভিটি এমন একটি অদ্ভুত সুন্দর গুণ যেটা আপনাকে নেগেটিভ ঘটনার ভিতর থেকেও পজিটিভ কিছু বের করে দিবে।
২. Passion- ভালো লাগা: অন্য কারো মতে নয়, নিজের ভালো লাগার মূল্য দিতে হবে। সবসময় নিজের ভালো লাগাটাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাল-মন্দ বিচার বিবেচনা করে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা কাজ করতে হবে। তাই আপনি যেই কাজটা করতে ভালবাসেন সেটা করুন।
৩. Perseverance- কঠোর অধ্যবসায়: কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ মনোযোগ দিতে হবে কারণ এই পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি। এজন্য জীবন থেকে অজুহাত ও অলসতাকে বিদায় দিয়ে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পরিশ্রম করতে হবে।
৪. Persistence- লেগে থাকা: কঠোর পরিশ্রম করে সময়মত কাজ শেষ করতে হবে, সেজন্য লেগে থাকার ইচ্ছা থাকতেই হবে। লেগে থাকা এমন একটি গুণ যার বদৌলতে আপনি পৌঁছাতে পারবেন আপনার কাংখিত লক্ষ্যে। সফল উউদ্যোক্তারা সবসময় বলে – নেভার গিভ আপ। তাই লেগে থাকুন।
৫. Purpose- উদ্দেশ্য: জীবনের একটা উদ্দেশ্য খুুঁজে বের করতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি ব্যতিক্রম কিছু করতে সক্ষম। এই উদ্দেশ্য খুঁজে বের করাটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে খুঁজতে হবে। যদি আপনি নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন, তাহলে আপনি সফলভাবে উদ্দেশ্যটি খুঁজে পাবেন এবং উদ্দেশ্যটি সম্পাদনও করতে পারবেন।
৬. Patience- ধৈর্য্য: ধৈর্য্য একজন উদ্যোক্তার সফল হওয়ার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ। কারণ সাফল্য ধরা দিতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে চেষ্টা করতে হবে কারণ, এটাই হবে আপনার সাফল্যের গল্প। একটি প্রবাদ আছে – “সবুরে মেওয়া ফলে”। সেজন্য ধৈর্য্য ধারণ করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
৭. People- মানুষ: উদ্যোক্তা হওয়া মানে মানুষের সাথে কারবার। তাই মানুষকে সব সময় সম্মান করতে হবে সে আপনার পার্টনার, ইনভেস্টর, টিম মেম্বার, এমপ্লোয়ি কিংবা কাষ্টোমার যেই হোক না কেন। মানুষকে সবসময় নিজের ফিল করিয়ে আপনার কাজের সাথে যুক্ত করতে হবে তাহলেই আপনার উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখবে। লেখক: রন মাহিনুর ফাউন্ডার এন্ড সিইও উদ্যোক্তাগিরি
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।