"> ছাগলের খামারে বেশী আয় সম্ভব ; বিদেশ যেতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় না করে – bangla
  1. admin@uddoktasomachar.com : admin12 :
শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

ছাগলের খামারে বেশী আয় সম্ভব ; বিদেশ যেতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় না করে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৫৩ Time View

দিনাজপুরের হিলির বাগদোর গ্রামে ছাগলের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শাহাদৎ হোসেন সাদো। ৬০ টি দেশী ছাগল নিয়ে শুরু করেন ছাগলের খামার। এক বছরে ৬০ টি ছাগল থেকে ১০০ টি ছাগল বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক বেকার যুবকরা অনুপ্রেরিত হচ্ছে ছাগল খামার করতে।

শাহাদৎ হোসেন সাদো জানান, প্রথমে আমি আমার এলাকার এক বৃদ্ধা মহিলার মাধ্যমে অনুপ্রেরিত হয়েছি এই ছাগল খামার করতে। বৃদ্ধা এসে আমকে বলেন বাবা আমার দুইটি ছাগল আছে তা থেকে এক বছরে ৮ টি ছাগল হয়েছে। তার কথা শুনে আমার আগ্রহ জাগল এবং আমি ভেবে দেখলাম ছাগল পালন করে নিজেকে স্ববলম্বী করতে পারবো।

তখন আমি এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে ৬০ টি দেশী ছাগল কিনে আনি। শুরু হয় আমার ছাগল খামার। নিজ বসত বাড়িতে অনেক জায়গা থাকায় বাড়ির ভেতরে ছাগল রাখি। বাড়ির সকল সদস্যসহ আমি ছাগলগুলোর যত্ন নেয়।

বাড়িতে খড় কাটার মেশিন বসায়। মেশিন দিয়ে খড়গুলো ছোট করে খৈল ভুষি পানি দিয়ে মিশিয়ে ছাগলগুলোকে খাওয়ায়। এক বছরের মধ্যে ছাগলগুলো একটি- দুইটি করে বাচ্চা দিতে শুরু করে। তা থেকে এখন প্রায় ১০০ বাচ্চা দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান দেশী ছাগল ছাড়াও ৮ টি ভারতীয় রাজস্থানী ও তোতা জাতের ছাগল খামারে রেখেছি। ছাগলগুলোর মাঝে মধ্যে পিপিআর, পাতলা পায়খানা, জ্বর, স্বর্দি রোগ হয়ে থাকে। এই সব রোগে আক্রমন হলে হাকিমপুর উপজেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসা করি। বিশেষ করে আমি ইউটিউবে থেকে সার্চ দিয়ে ছাগলের বিভিন্ন রোগ এবং প্রতিকার দেখি।

ইউটিউবের নির্দেশনা মোতাবেক নিজে ছাগলের চিকিৎসা দেই। তবে মাসে প্রায় চার থেকে পাঁচবার উপজেলা পশু হাসপাতালের পশু ডাক্তার এসে আমার খামার পরিদর্শন করে সুপরামর্শ ও চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করে যায়। তার মতে বেকার যুবকদের জন্য ছাগলের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। বিদেশে লাখ লাখ টাকা ব্যয় না করে দেশে যদি একটি ছাগল খামার করে তাহলে তারা অল্প সময়ের মধ্যে স্বাবলম্বী হতে পারবে।

হাকিমপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান, শাহাদৎ হোসেন সাদোর ছাগলের খামারটি প্রানি সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। প্রানি সম্পদ অফিস ছাগলের উৎপাদন বাড়াতে, ছাগলের রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

সাদোর মতো এলাকার অন্যান্য বেকার যুবকেরা ছাগলের খামার করতে উৎসাহী হলে কর্মস্থানের সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব দুর হবে। তিনি বেকারত্ব ঘোচাতে ছাগলের খামার করতে বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানান।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2019 bdwebs.com
Theme Customization By onlinechannel.Com